মালয়েশিয়া দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার অন্যতম ধনী দেশগুলোর মধ্যে একটি। ৩,২৯,৮৪৫ বর্গকিমি আয়তনের ১৩ টি রাজ্য ও ৩ টি ঐক্যবদ্ধ প্রবেশ নিয়ে মালয়েশিয়া গঠিত হয়েছে। যা বর্তমানে দক্ষিণ চীন সাগর দ্বারা দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া অসংখ্য ভিসায় যাওয়া যায়। এই সকল ভিসার মধ্যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ভিসা হল মালয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসা, মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা, মালয়েশিয়া ফ্যামিলি ভিসা ইত্যাদি।
এ সকল ভিসার মধ্যে আবার কিছু ভিসা এমন রয়েছে যে ভিসা গুলোতে মালয়েশিয়া গেলে নানা রকম সমস্যা করতে হয়। তাই মালয়েশিয়া যাওয়ার আগে জেনে নেওয়া জরুরী এই সকল ভিসার মধ্যে কোন ভিসা টি সব থেকে ভালো এবং কোন ভিসায় মালয়েশিয়া গেলে সব থেকে বেশি সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়।
মালয়েশিয়া কোন ভিসা ভালো
বর্তমানে অসংখ্য ভিসার মাধ্যমে মালয়েশিয়া সরকার পরিশ্রমিক নিয়োগ করে থাকে। এ সকল ভিসার মধ্যে কিছু ক্যাটাগরি রয়েছে। যেমন কাজ করার জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, বসবাস করার জন্য ফ্যামিলি ভিসা আবার ভ্রমণের জন্য টুরিস্ট ভিসা।
বর্তমানে মালয়েশিয়ার অসংখ্য ভিসা থাকায় নির্দিষ্ট করে কোন ভিসা ভালো তা বলা সম্ভব নয়। মালয়েশিয়া কোন ভিসা ভালো তা বলতে গেলে একটি ভিসার তালিকা তৈরি হয়ে যাবে। তবে যদি ভাল ভিসার তালিকা তৈরি করা হয় এর মধ্যে মালয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সবার উপরে থাকবে।
বর্তমানে মালয়েশিয়াতে যে সকল ভিসার আবেদন করা হয় তার মধ্যে সবথেকে বেশি আবেদন ওয়ার্ক ভিসার জন্য করা হয়। মালয়েশিয়ায় পড়াশোনার মান ভালো হওয়ায় অনেকেই আবার স্টুডেন্ট ভিসায় মালয়েশিয়া যায়। এ ছাড়া মালয়েশিয়ায় অসংখ্য পর্যটন কেন্দ্র থাকায় ভ্রমণের জন্য অনেক পরিমাণে টুরিস্ট ভিসার আবেদন করা হয়।
মালয়েশিয়া কলিং ভিসা ২০২৪
বর্তমান ২০২৪ সাল থেকে আবার মালয়েশিয়া কলিং ভিসা কার্যক্রম শুরু হবে। ২০২৪ সাল থেকে নতুন করে অসংখ্য মালয়েশিয়ান কোম্পানি কলিং ভিসার মাধ্যমে শ্রমিক নিয়োগ সার্কুলার প্রকাশ করবে। এই সকল সার্কুলার অনুযায়ী ভিসার আবেদন করে সহজেই মালয়েশিয়া কলিং ভিসা পাওয়া যাবে।
কলিং ভিসায় মালয়েশিয়া তে কাজ করলে অধিক রেমিটেন্স আয় করা সম্ভব। এছাড়াও মালয়েশিয়া কলিং ভিসার অসংখ্য সুযোগ সুবিধা রয়েছে। যেমন মালয়েশিয়া কলিং ভিসার ৫ বছর মেয়াদ থাকায় ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার চিন্তা থাকে না। ভিসার মেয়াদ শেষ হলে আবার পাঁচ বছর মেয়াদ বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ ও রয়েছে।
মালয়েশিয়া কোন ভিসার সুবিধা বেশি
বর্তমানে মালয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় সব থেকে বেশি সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় মালয়েশিয়াতে অনেক দিন অবস্থান করা যায়। এছাড়াও মালয়েশিয়া সরকার শ্রমিকদের আলাদা সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। এছাড়া মালয়েশিয়া ফ্রি ভিসাতেও অসংখ্য সুযোগ সুবিধা রয়েছে।
মালয়েশিয়া ফ্রি ভিসায় নিজের ইচ্ছামত যে কোনো কোম্পানিতে চাকরি করা যায় এবং নিজের ইচ্ছামত ওভারটাইম করে অধিক টাকা উপার্জন করা সম্ভব। মালয়েশিয়া উন্নত হওয়ায় মালয়েশিয়াতে বসবাসের অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে অসংখ্য মানুষ ফ্যামিলি ভিসায় মালয়েশিয়া বসবাস করছে।
মালয়েশিয়া রেস্টুরেন্ট ভিসা ২০২৪
বর্তমানে মালয়েশিয়ার বেস্ট ভিসা গুলোর মধ্যে রেস্টুরেন্ট ভিসা অন্যতম। মালয়েশিয়াতে অসংখ্য উন্নতমানের ফাইভ স্টার হোটেল বা রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এই সকল রেস্টুরেন্টে মালয়েশিয়ার ধনী ব্যক্তিরা ডিনার করতে আসে। এ সকল ধনী ব্যক্তিদের সেবা প্রদান করার জন্য প্রতি বছর অসংখ্য রেস্টুরেন্ট ওয়েটার নিয়োগ দেওয়া হয়।
মালয়েশিয়া রেস্টুরেন্ট ভিসা তৈরি করতে খরচও তুলনামূলক কম হয়। অল্প টাকা খরচ করে মালয়েশিয়ার রেস্টুরেন্ট ভিসা তৈরি করে অধিক টাকা আয় করা সম্ভব। মালয়েশিয়া রেস্টুরেন্ট ভিসা তৈরি করতে বর্তমানে প্রায় ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা খরচ হয়। তবে সরকারিভাবে ভিসা তৈরি করার সুযোগ পেলে ৩ লাখ টাকায় ভিসা তৈরি করা যায়।
মালয়েশিয়া কোন কাজের বেতন বেশি
সকল কাজের বেতন কাজের ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করে। তাই মালয়েশিয়া কোন কাজের বেতন কত তা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। তবে মালয়েশিয়াতে বিভিন্ন সরকারি চাকরির বেতন আনুমানিক ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। অপরদিকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরি করলে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা বেতন পাওয়া যায়।
মালয়েশিয়াতে শ্রমিকদেরও বেতন বেশ ভালো। একজন শ্রমিকের মাসিক বেতন সর্বনিম্ন প্রায় ২৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। মালয়েশিয়াতে শ্রমিকদের ওভারটাইম করার সুযোগ রয়েছে। ওভারটাইম করে একজন শ্রমিক মাসে সর্বনিম্ন প্রায় ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৬০ হাজার টাকা বা তারও বেশি টাকা ইনকাম করতে পারে।
শেষ কথা
মালয়েশিয়া উন্নত রাষ্ট্র হওয়ায় প্রচুর পরিমাণে মালয়েশিয়ান ভিসার আবেদন করা হয়। মালয়েশিয়ার ভিসার চাহিদা বেশি থাকার কারণে দুর্নীতি ও বেশি হয়। তাই মালয়েশিয়ার ভিসা তৈরি করার আগে সবাই কে অধিক সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।