বিভিন্ন কাজ করানোর জন্য পৃথিবীর সকল দেশেরই অন্য দেশ থেকে শ্রমিক আমদানি করার প্রয়োজন পড়ে। তারা বিভিন্ন কাজের ভিসার সার্কুলার প্রকাশ করার মাধ্যমে অন্য দেশ থেকে শ্রমিক তাদের দেশে কাজ করানোর জন্য নিয়ে আসে। সৌদি আরব ও এর ব্যতিক্রম নয়। সৌদি আরব ও প্রতি বছর বিভিন্ন কাজের জন্য ভিসার সার্কুলার প্রকাশ করার মাধ্যমে অন্য দেশ থেকে শ্রমিক তাদের দেশে বৈধ ভাবে নিয়ে থাকে।
বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব যাওয়ার জন্য এই সকল কাজের ভিসা সরকারি ও বেসরকারি দুই ভাবেই পাওয়া যায়। সরকারি ভাবে ও বেসরকারি ভাবে সৌদি আরবের ফ্রি ভিসার দাম আলাদা হয়ে থাকে। সৌদি আরবের দেওয়া সকল ভিসার মধ্যে ফ্রি ভিসায় গেলে অধিক অর্থ আয় করা সহ সব থেকে বেশি সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়।
সৌদি আরবের ফ্রি ভিসার দাম
ফ্রি ভিসায় সৌদি আরব গিয়ে নিজের ইচ্ছা মতো কাজ করার সুবিধা থাকায় সৌদি আরবের ফ্রি ভিসা সকলের পছন্দের শীর্ষে থাকে। বর্তমানে ফ্রি ভিসার তুলনায় ফ্রি ভিসার জন্য আবেদন অনেক বেশি পরিমাণে হওয়ায় বিভিন্ন দালাল বা এজেন্সির মাধ্যমে ফ্রি ভিসা পাওয়া অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ ফ্রি ভিসা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন দালাল বা এজেন্সির মাধ্যমে ফ্রি ভিসার জন্য আবেদন করে থাকে। যার কারণে তারা ফ্রি ভিসার কথা বলে অন্য কাজের ভিসা তৈরি করে দিয়ে থাকে। বর্তমানে সৌদি আরবের ফ্রি ভিসার দাম আনুমানিক পাঁচ ৫ টাকা থেকে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
সৌদি আরব ফ্রি ভিসা খরচ কত
বর্তমানে সকল কাজের ভিসার তুলনায় ফ্রি ভিসার চাহিদা তুলনামূলক বেশি। কেননা সবাই নিজ ইচ্ছা মত কাজ করার সুযোগ চায়। চাহিদা বেশি হওয়ায় বর্তমানে সৌদি আরবের ফ্রি ভিসা পাওয়া অনেক কঠিন থেকে কঠিনতর আকার ধারণ করেছে।
ফ্রি ভিসা পাওয়া কঠিন হলেও আপনার পরিচিত কেউ সৌদি আরব থাকলে খুব সহজেই আপনি সৌদি আরব যাওয়ার ফ্রি ভিসা পেতে পারেন। তবে বিভিন্ন দালাল বা এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি আরবের ফ্রি ভিসা পেতে তুলনামূলক অনেক বেশি খরচ হয়ে থাকে। বর্তমানে সৌদি আরবের ফ্রি ভিসা পেতে আনুমানিক ৫-৬ লাখ বা তার ও বেশি টাকা খরচ হতে পারে।
সৌদি ফ্রি ভিসায় গেলে কি কি কাজ করা যায়
বিভিন্ন কাজ করানোর জন্য সৌদি আরব পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু রেখেছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে কাজ করার জন্য এই সকল শ্রমিক যেন বৈধভাবে সৌদি আরব প্রবেশ করতে পারে। তার জন্য সৌদি সরকার প্রতি বছর বিভিন্ন কাজের ভিসার সার্কুলার প্রকাশ করে থাকে।
সৌদি সরকারের দেওয়া এই সকল কাজের ভিসার সার্কুলার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তাদের নিজস্ব ওয়েব সাইটে পাওয়া যায়। সৌদি আরবের ফ্রি ভিসা বলতে সৌদি আরব গিয়ে নিজ ইচ্ছা মত যে কোন কাজ বা নিজ ইচ্ছা মত যে কোনো কোম্পানিতে কাজ করার অনুমতি পত্র কে বোঝানো হয়।
কত বছর হলে সৌদি আরব ফ্রি ভিসায় যাওয়া যায়
অনেকেই অল্প বয়সে সৌদি আরব ফ্রি ভিসায় যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে। তবে তাদের বয়স কম থাকায় তাদের মনে নানা শঙ্কা তৈরি হয়। এছাড়াও অনেকের জন্ম নিবন্ধন বা ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করার সময় কিছু ত্রুটি বা ভুলের কারণে বয়স বেশি হলেও আইডি কার্ডের ত্রুটির কারণে বয়স কম দেখায়।
সৌদি আরবে ফ্রী ভিসায় যেতে হলে ভোটার আইডি কার্ড অথবা জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী আপনার বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে। তবে বর্তমানে সৌদি আরব যাওয়ার বয়স ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ী ১৮ বছর থেকে ২১ বছর করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
শেষ কথা
ভিসা তৈরি করার জন্য বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ বিভিন্ন দালাল বা এজেন্সির শরণাপন্ন হয়। সৌদি আরবের ফ্রি ভিসার দাম সম্পর্কে ধারণা না থাকায় অনেকেই এই সকল দালাল বা এজেন্সির দ্বারা বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই আমাদের এই সকল দালাল বা এজেন্সি থেকে সতর্ক থাকতে হবে।