মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা বেতন কত

বর্তমানে ৩,২৯,৮৪৫ বর্গকিমি আয়তনের দেশ মালয়েশিয়াতে সরকারি ভাবে অসংখ্য শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। মালয়েশিয়ার বিভিন্ন কোম্পানির ফ্যাক্টরিতে অসংখ্য কাজের সুযোগ রয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি ভাবে এ সকল ফ্যাক্টরিতে প্রতি বছর অসংখ্য শ্রমিক নিয়োগ করা হয়।

বর্তমান সময়ে অনেকেই দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উন্নত রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে মালয়েশিয়া অন্যতম। যার ফলে মালয়েশিয়া যাওয়ার চাহিদা অনেক বেশি।

মালয়েশিয়ার বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে অনেক ধরনের কাজ পাওয়া যায়। বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য শ্রমিক মালয়েশিয়ার বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে কর্মরত রয়েছে। অনেকেই আবার মালয়েশিয়ার বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করার জন্য মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার জন্য আবেদন করছে।

মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা বেতন কত

মালয়েশিয়াতে বিভিন্ন কোম্পানির অসংখ্য নির্দিষ্ট ফ্যাক্টরি রয়েছে। মালয়েশিয়ান এই সকল কোম্পানির ফ্যাক্টরিতে কাজ করতে হলে আপনাকে মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। অল্প কিছু টাকা আবেদন ফি প্রদান করার মাধ্যমে মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা পাওয়া যায়।

মালয়েশিয়া বিভিন্ন কোম্পানির ফ্যাক্টরিতে কাজ করে অনেক টাকা ইনকাম করা সম্ভব। মালয়েশিয়াতে একজন ফ্যাক্টরি শ্রমিকের সর্বনিম্ন মূল্য ২৫ হাজার টাকা থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। আবার একই কোম্পানিতে বেশি দিন কাজ করলে এই বেতন সর্বনিম্ন প্রায় ৪০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

অপরদিকে আপনি যদি কোন কাজে দক্ষ হয়ে থাকেন এবং ফ্যাক্টরিতে পূর্ব অভিজ্ঞতার সাথে কাজ করেন তাহলে আপনি সর্বনিম্ন প্রায় ৫০ হাজার টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন। মালয়েশিয়া তে এক জন অভিজ্ঞ সম্পন্ন ফ্যাক্টরি শ্রমিকের মাসিক বেতন ন্যূনতম প্রায় ৭০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার দাম কত?

বর্তমানে মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা অনেক বেশি চাহিদা সম্পন্ন ভিসা গুলোর মধ্যে একটি। ফ্যাক্টরি ভিসা মালয়েশিয়া গিয়ে বিভিন্ন কোম্পানিতে সহজে চাকরি পাওয়া যায়। পূর্বে চাহিদা কম থাকায় মালয়েশিয়ার ফ্যাক্টরি ভিসা তৈরি করা সহজ হলেও বর্তমানে ফ্যাক্টরি ভিসা তৈরি করা অনেক কঠিন।

সরকারি ও বেসরকারি দুই ভাবেই মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরির ভিসা তৈরি করা যায়। সরকারি ভাবে ভিসা পেয়ে গেলে খরচ তুলনামূলক কম হয়। সরকারি ভাবে ভিসা তৈরি করতে সর্বনিম্ন প্রায় ৫ লাখ টাকা থেকে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। অপর দিকে বেসরকারি ভাবে বিভিন্ন এজেন্সি ও দালালের মাধ্যমে ভিসা তৈরি করতে সর্বনিম্ন প্রায় ৭ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ৯ লাখ টাকা খরচ হতে পারে।

মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার আবেদন ফি কত

বর্তমানে মালয়েশিয়াতে অভিজ্ঞতা ছাড়া ফ্যাক্টরিতে কাজ করা যায়। ফ্যাক্টরিতে কাজ করে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হলে বেতন বৃদ্ধি পায়। যার কারণে বর্তমানে ফ্যাক্টরি ভিসায় মালয়েশিয়া যাওয়ার চাহিদা অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিভিন্ন কোম্পানির ফ্যাক্টরিতে কাজ করার জন্য সর্বপ্রথম ফ্যাক্টরি ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। ফ্যাক্টরি ভিসার আবেদন ফি বাবদ কিছু টাকা প্রদান করতে হয়। ফ্যাক্টরি ভিসা তৈরি করতে সর্বনিম্ন প্রায় ১৮ হাজার টাকা আবেদন ফ্রি প্রদান করতে হয়। তবে এজেন্সিতে পরিচিত লোক থাকলে ১৫ হাজার টাকায় আবেদন কার্যক্রম সম্পন্ন করা যায়।

মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা আবেদন করার নিয়ম

বেশ কিছু ধাপে মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়। এর মধ্যে প্রথম ধাপে মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার আবেদন করার জন্য বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করার জন্য বিএমইটি অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন।

বি এম ই টি রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে আপনাকে ৩ দিনের একটি ট্রেইনিং এ অংশগ্রহণ করতে হবে। ট্রেনিং এর পর বিএমইটি থেকে একটি সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। এই সার্টিফিকেট এর সাহায্যে পরবর্তীতে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি চাইলে সহজেই কোন এজেন্সির সাহায্যে ভিসা তৈরি করতে পারেন।

শেষ কথা

বর্তমানে মালয়েশিয়া যাওয়া বেশ কঠিন হয়ে গেছে। তবে অনেক দালাল সহজে মালয়েশিয়া পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার করে। অনেকেই আবার অবৈধ ভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার পরামর্শ দেয় যা অনেক বিপদজনক। তাই মালয়েশিয়া যাওয়ার আগে এদের থেকে সতর্ক হতে হবে।

Leave a Comment

Share via
Copy link