ক্রোয়েশিয়াতে কাজের জন্য যাওয়ার পূর্বে ঐ দেশের সরকার থেকে ওয়ার্ক পারমিট পেতে হবে। এজন্য প্রথমে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করা লাগবে। এই ভিসার মাধ্যমে ক্রোয়েশিয়ার সকল ধরনের কাজ করতে পারবেন। বাংলাদেশের যেকোনো এজেন্সি থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে। আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে আপনাকে ক্রোয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দেওয়া হবে। এরপর এটি অনলাইনের মাধ্যমে চেক করে নিবেন।
বর্তমানে প্রযুক্তির কল্যাণে খুব সহজেই ঘরে বসে ক্রোয়েশিয়া সহ যেকোনো দেশের ভিসা খুব সহজে চেক করা যায়। অবশ্যই আপনার এজেন্সি অথবা দালাল কর্তৃক প্রতারিত হওয়ার আগেই এই ভিসা গুলো চেক করে নিবেন। সম্পূর্ণ পোস্টের মাধ্যমে ক্রোয়েশিয়া ওয়ার ফরমেট ভিসা অনলাইনে চেক করার উপায় সম্পর্কে জানানো হবে।
ক্রোয়েশিয়া ওয়ার্ক ভিসা
আপনি যদি কাজ করার উদ্দেশ্যে ক্রোয়েশিয়া যেতে চান তাহলে অবশ্যই সে দেশে অবস্থিত কোন কোম্পানি থেকে সর্বপ্রথম ওয়ার্ক পারমিট পেতে হবে। তারপর আপনি সেই ওয়ার্ক পারমিট সহ ক্রোয়েশিয়ার ভিসা আবেদন করতে পারবেন। সফলভাবে আপনার ভিসা কার্যক্রম সম্পন্ন হয়ে গেলে আপনি ভিসা পেতে পারেন। ভিসা পাওয়ার পরে আপনি বিমান টিকিট ক্রয় করে ক্রোয়েশিয়া পৌঁছাতে পারবেন।
ক্রোয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট চেক অনলাইন
অনেক এজেন্সি ভিসা আবেদনকারীদের ডুপ্লিকেট বা নকল ভিসা বানিয়ে দিচ্ছে। এই সকল ডুপ্লিকেট ভিসার মাধ্যমে ক্রোয়েশিয়াতে যাওয়া যাবে না। ক্রোয়েশিয়াতে যাওয়ার পরেও যদি আপনার ভিসা টি ডুপ্লিকেট প্রমাণিত হয়, তাহলে আপনাকে সাজা দেওয়া হবে। তাই ভিসা হাতে পাওয়ার সাথে সাথে অনলাইন থেকে চেক করে নিবেন। এজন্য ভিসা নাম্বার, আবেদন নাম্বার বা পাসপোর্ট নাম্বারের প্রয়োজন হবে। ভিএফএস গ্লোভাল থেকে ক্রোয়েশিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা চেক করতে পারবেন।
১। প্রথমে গুগল থেকে vfsvisaonline এই ঠিকানায় ভিজিট করুন।
২। নতুন একটি পেজ ওপেন হবে। পেজ টি নিচের ছবির মতো দেখা যাবে।

৩। এখন আপনার Reference Number নাম্বার লিখুন। এটি ভিসা আবেদন পত্রে দেওয়া থাকে।
৪। ভিসা আবেদন পত্রে দেওয়া Last Name লিখুন।
৫। ছবিতে দেখানো ক্যাপচা কোড টি লিখুন।
৬। এখন সাবমিট বাটনে ক্লিক করে ভিসা চেক করুন।
ক্রোয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট চেক করতে কি কি লাগবে
ভিসা চেক করার জন্য পাসপোর্ট টি সাথে রাখবেন। তবে এটি না থাকলে সমস্যা হবে না। ওয়ার্ক পারমিট চেক করার জন্য রেফারেন্স নাম্বার টি প্রয়োজন হবে। তাই আপনারা আবেদন পত্র টি সাথে রাখবেন। এরপর ঐ আবেদন পত্রে দেওয়া আপনার নামের শেষের অংশ প্রয়োজন হবে। তাই ভিসা চেক করতে ভিসা আবেদন পত্র টি সাথে নিয়ে রাখতে হবে। এই সকল তথ্য সংগ্রহ করা থাকলে ভিসা চেক করার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন।
কিভাবে বুঝবেন ভিসা অরজিনাল না ডুপ্লিকেট
অরজিনাল না ডুপ্লিকেট এটা বুজাহ্র জন্য প্রথমে ওয়ার্ক পারমিটের উপরের অংশের ডান দিকে লক্ষ্য করবেন। সেখানে একটি স্ক্যানার বাড় দেওয়া থাকে। কিন্তু ডুপ্লিকেট ওয়ার্ক পারমিটে কিনো ধরনের বার কোড বা স্ক্যানার কোড দেওয়া থাকে না। সাথে ভিসা পত্রে দেওয়া লোগো টি ছোট দেখাবে। যদি এই লোগো টি একটু বড় দেখায় তাহলে বুঝতে হবে এটি ডুপ্লিকেট ভিসা। আর ডুপ্লিকেট ভিসা চেক করার পর তাদের সার্ভারে পাওয়া যাবে না। এই তথ্য গুলো যাচাই করে বুঝবেন ভিসা অরজিনাল না ডুপ্লিকেট।
ভিসা চেক করার সময় ভুল তথ্য দিলে ভিসা অরজিনাল হলেও তা এই সার্ভারে পাওয়া যাবে না। তাই খেয়াল রাখবেন আপনার তথ্য গুলো নির্ভুল। আর সঠিক তথ্য দেওয়ার পড়েই যদি ভিসার কোনো ইনফো না পাওয়া যায়, তাহলে বুঝতে হবে এই ভিসা টি ডুপ্লিকেট। এই ডুপ্লিকেট ভিসা দিয়ে ক্রোয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট পাবেন না।