কুয়েত যেতে কত বছর বয়স লাগে [2024]

কুয়েত এশিয়া মহাদেশের সমৃদ্ধ একটি রাষ্ট্রও। বাংলাদেশ সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে কুয়েতে আসা হয়। বেশির ভাগ মানুষ কুয়েতে কাজের জন্য আসে। প্রধান কারণ কুয়েতের টাকার মান অনেক বেশি। সেই সাথে কাজের মান অনেক। প্রতি বছর হাজার হাজার শ্রমিকের নিয়োগ হয় কুয়েতে। তবে কুয়েতে যাওয়ার জন্য নুন্যতম বয়স হতে হবে। এই নির্ধারিত বয়সের তুলনায় বয়স কম বা তার বেশি হলেও ভিসা পাওয়া যাবে না। তবে ভ্রমণের জন্য যাওয়ার জন্য কোনো বয়সের সীমাবদ্ধতা নেই। কুয়েত যেতে কত বছর বয়স লাগে জেনে নেওয়া যাক।

কুয়েত যেতে কত বছর বয়স লাগে

অনেক বাংলাদেশি কম খরচে বিদেশ যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়। যার কারণে এশিয়ার যেকোনো একটি দেশ বেছে নিতে হয়। মাত্র ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা হলে কুয়েত যাওয়া যাবে। কিন্তু কাজের জন্য নুন্যতম বয়স না হলে, ভিসা দেওয়া হবে না। কুয়েতে কাজ করার জন্য সর্বনিম্ন ২১ বছর হতে হবে। কুয়েতের শিশু ও শ্রম আইন অনুযায়ী কাজের জন্য সর্বনিম্ন ২১ বছর বয়স হতে হবে। ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কুয়েত যেতে সর্বনিম্ন ২১ বছর ও সর্বোচ্চ ৩৫ বছর হতে হবে। ২১ বছরের থেকে কম এবং ৩৫ বছরের বেশি হলে কাজের ভিসা পাওয়া যাবে না। তবে কাজ ব্যতীত বাকি যেকোনো ভিসা পাওয়া যাবে।

কাজের জন্য কুয়েত যেতে কত বছর বয়স লাগে

বেশিরভাগ প্রবাসীরা কুয়েতে কাজের ভিসায় আসে। যারা বয়স উপযুক্ত তারা কুয়েতের বিভিন্ন কাজের ভিসা পায়। যেমন কোম্পানি ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, ফ্রি ভিসা, সরকারি ভিসা, সিজনাল ও নন সিজনাল সহ যেকোনো কাজের ভিসা। এই সকল কাজের ভিসায় কুয়েত যেতে নুণ্যতম ২১ বছর বয়স লাগবে।

২১ বছরের নিচে কোনো ব্যাক্তি কুয়েতের কাজের ভিসায় আবেদন করতে পারবে না। আপনার বয়স ২১ বছর হলেও, তা যদি আপনার এনআইডি বা জন্ম সনদে ২১ এর থেকে কম থাকে তাহলেও ভিসা পাবেন না। এনআইডি, জন্মসনদ ও শিক্ষামূলক ডকুমেন্ট বা সার্টিফিকেটে নুন্যতম ২১ বছর থাকতে হবে।

২১ বছরের নিচে কুয়েতের কোন কোন ভিসা পাওয়া যাবে?

নুণ্যতম বয়স না হলেও কিছু ভিসায় কুয়েত যাওয়ার সুযোগ আছে। কুয়েতের স্টুডেন্ট ভিসা, ভিজিট ভিসা ও মেডিকেল ভিসায় যেতে বয়সে সীমাবদ্ধতা নেই। যেকোনো বয়সের ব্যাক্তি আবেদনের মাধ্যমে এই ভিসা গুলো পাবে। এই টিন ভিসায় কোনো বয়স বিবেচনা করা হবে না। তবে কেউ যদি কাজের জন্য কুয়েতে যেতে চায়, তাহলে অবশ্যই ২১ বছর বয়স হতে হবে। এমনকি বিজনেস ভিসায় কুয়েত যেতেও ২১ বছর বয়স থাকতে হবেই। যাদের ২১ এখনো ২১ বছর হয়নি তারা টুরিস্ট ভিসা বা স্টুডেন্ট ভিসায় কুয়েত যেতে পারেন।

৩৫ বছরের বেশি বয়স হলে কুয়েটের ভিসা পাবে কি?

কুয়েতের ভিসা পাওয়ার জন্য সঠিক বয়স ২১ থেকে ৩৫। তাই সবার প্রশ্ন ৩৫ বছরের বেশি হলে কি কুয়েত যেতে পারবে না। কুয়েতের কাজের বা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার নিয়ম অনুযায়ী কুয়েতে কাজ করতে তার বয়স ২১ থেকে ৩৫ বছর হতে হবে। এই বয়সী ব্যাক্তিদের তারা যোগ্য ও অভিজ্ঞ মনে করে। যদি ৩৫ বছরের বেশি বয়সী কোনো ব্যাক্তি প্রথমবারের মতো কুয়েত কাজের ভিসায় আবেদন করে তাহলে ভিসা পাবে না।

কিন্তু আপনি ইতোমধ্যে কুয়েতে কাজ করেছেন এবং আবার ছুটি কাটিয়ে যেতে চাচ্ছেন, তাহলে বয়স ৩৫ এর অধিক হলেও যেতে পারবেন এবং ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করতে পারবেন। এছাড়া  ৩৫ বছরের বেশি বয়সী যেকোনো ব্যাক্তি ভিজিট বা টুরিস্ট ভিসা পাবে।

কুয়েত যেতে কি কি লাগবে

কুয়েতর ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী ডকুমেন্ট লাগে। কাজের জন্য গেলে কাজ বিষয়ক কাগজপত্র ও শিক্ষামূলক ডকুমেন্ট লাগবে। ভ্রমণের জন্য যেতে শুধু ব্যাক্তিগত তথ্য ও কিছু ডকুমেন্ট থাকতে হবে। কুয়েত যাওয়ার পূর্বে বিশেষ কিছু ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে রাখবেন। কুয়েত যেতে কি কি লাগবে এখানে তালিকা সহ দেওয়া আছে।

  • সর্বনিম্ন ৬ মাস মেয়াদী পাসপোর্ট।
  • ভিসা আবেদন পত্র।
  • সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
  • এনআইডি বা জন্ম সনদের ফটোকপি।
  • চাকরির আবেদন পত্র।
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও ডকুমেন্ট।
  • মেডিকেল টেস্ট এর রিপোর্ট।
  • পুলিশ ক্লিয়ারনেস।
  • ভ্রমণ বীমা।
  • ড্রাইভিং এর কাজ হলে বাংলাদেশি ড্রাইভিং লাইসেন্স।
  • কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ডকুমেন্ট।

উপরোক্ত এই ডকুমেন্ট গুলো লাগবেই। ভিসা অনুযায়ী কিছু ডকুমেন্ট পরিবর্তন হতে পারে। মেডিকেল ভিসার জন্য মেডিকেল বিষয়ক রোগীর সকল ডকুমেন্ট ও রিপোর্ট লাগবে।

কুয়েত যাওয়ার জন্য শুধু কাজের ভিসায় বয়সের বাধ্যকতা আছে। এছাড়া অন্য যেকোনো ভিসায় যেতে বয়সের সীমাবদ্ধতা নেই। চাকরি বা কাজের ভিসা পেতে অবশ্যই ২১ বছর বয়সী হতে হবে। ভ্রমণের জন্য যেতে কোনো নির্ধারিত বয়স লাগে না।

আরও দেখুনঃ

বাংলাদেশ থেকে গ্রিস যেতে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশ থেকে ইতালি বিমান ভাড়া কত

Leave a Comment

Share via
Copy link