বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিনই কয়েক শত মানুষ সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে পারি জমাচ্ছে। কেউ যাচ্ছে কাজের উদ্দেশ্যে, আবার কেউ যাচ্ছে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সালামের শহরে হজ্জ করার উদ্দেশ্যে। আবার কেউ যাচ্ছে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে। তবে বেশিরভাগই বাংলাদেশের লোকজন প্রতিবছর কাজের উদ্দেশ্যে জীবিকার সন্ধানে সৌদি আরবে পৌঁছে থাকে।
একজন বাংলাদেশী যেকোনো সময় ভিসা তৈরি করে সৌদি আরবে বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে পৌঁছাতে পারেন। এমনকি একজন বাংলাদেশীর জন্য সৌদি আরবে বিভিন্ন কাজের সুযোগ রয়েছে। তবে অনেকে বিভিন্ন দালাল এবং এজেন্সিদের সাথে যোগাযোগ করে সৌদি আরব পৌঁছে থাকেন বিভিন্ন কাজের জন্য।
অনেক আগত প্রবাসী ভাইদের কাছে সবসময়ই কোন কাজের বেতন কত তা অজানা থাকে। তবে একজন বাংলাদেশী কনস্ট্রাকশন কাজ, রেস্টুরেন্ট এবং ড্রাইভিং ভিসা সহ বিভিন্ন কাজের জন্য সেখানে পৌঁছে থাকেন। কিন্তু সৌদি আরবে কোন কাজের বেতন বেশি ও চাহিদা বেশি তা অনেকেই জানেন না। তাই এই পোস্ট থেকে বিস্তারিত জানুন।
সৌদি আরবে কোন কাজের বেতন বেশি
সৌদি আরবের সরকার প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে প্রচুর সংখ্যক শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকেন। এমনকি বিভিন্ন প্রাইভেট কোম্পানি গুলোও প্রচুর শ্রমিক নেওয়ার নিয়োগ দিয়ে থাকেন। তাই সবসময়ই বাংলাদেশ থেকে অনেক নাগরিক সৌদি আরবে কাজের উদ্দেশ্যে পৌঁছাতে দেখা যায়।
তবে যাওয়ার পূর্বে সৌদি আরবের কোন কাজের বেতন বেশি এবং চাহিদা বেশি এ সম্পর্কে কোন ধারণা থাকে না। তার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যাওয়ার পূর্বে কাজের বেতন নির্ধারিত না জেনে নেওয়াতে অনেকে পরবর্তীতে প্রতারণার স্বীকার হয়ে থাকেন।
- সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
- মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার
- গ্রাহক সেবা
- অফিস ম্যানেজার
- ওয়েটার
- নির্বাহী সহকারি
- ফার্মাসিস্ট
- হিসাবরক্ষক সহ আরো ইত্যাদি
সৌদি আরবের বেতন কত ২০২৪
শ্রমিক হিসেবে সৌদি আরবের একজন ব্যক্তি নূন্যতম ৩০ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকা বেতন পেয়ে থাকেন। তবে দক্ষতার উপর ভিত্তি করে একজন ব্যক্তির বেতন অনেক বেশি হতে পারে। রেস্টুরেন্ট, ইলেকট্রিশিয়ান ও বিভিন্ন কাজের উপর ভিত্তি করে ও দক্ষতার উপর নির্ভর করে কাজের বেতন নির্ধারিত করা হয়।
তবে সৌদি আরবের একজন ব্যক্তির সর্বোচ্চ বেতন হতে পারে ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার রিয়াল পর্যন্ত। অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে প্রায় ২ লক্ষ টাকা। এছাড়াও কাজের উপর ভিত্তি করে একজন ব্যক্তিকে সৌদি আরবে সর্বোচ্চ ২ লক্ষ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত বেতন প্রদান করা হয়ে থাকে।
সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি
বর্তমানে ২০২৪ সালের সৌদি আরবে ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বিং, অটোমোবাইল, টেকনিশিয়ান, ওয়েল্ডিং কাজের চাহিদা সবথেকে বেশি। এছাড়াও সৌদি আরবের বর্তমানে চাহিদা সম্পন্ন কাজের মধ্যে রয়েছে ড্রাইভিং, সেলসম্যান, ক্লিনার, ফ্যাক্টরি শ্রমিক, কনস্ট্রাকশন, ডেলিভারি ম্যান ও গৃহকর্মী ইত্যাদি। তবে এর মধ্যে ইলেকট্রিশিয়ান, অটো মোবাইল টেকনিশিয়ান ইত্যাদি কাজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
সৌদি আরবে সর্বনিম্ন বেতন কত ২০২৪
এই সৌদি আরবে সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারিত হয় ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা। তবে বাংলাদেশ থেকে যে কোন ভিসায় শ্রমিক হিসেবে সেখানে গিয়ে কাজ করতে পারেন। এছাড়াও এসি মেকানিক অটোমোবাইলসহ বিভিন্ন শ্রমিকদের সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারণ করা হয় ৫০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা।
এছাড়াও সৌদি আরবের বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট কাজের জন্য অন্যতম বেতন ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। অতএব সৌদি আরবের সর্বনিম্ন বেতন ৮০০ থেকে ১৫০০ রিয়াল অথবা ১৫০০ থেকে ৩০০০ রিয়াল।
সৌদি আরবে কোন কাজের সর্বোচ্চ বেতন বেশি
বাংলাদেশের অনেক নাগরিক বর্তমানে শ্রমিকসহ বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। তবে বেশিরভাগই সৌদি আরবে বর্তমান বাংলাদেশের শ্রমিকরা বসবাস করছেন। তবে শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন এবং সর্বোচ্চ বেতন ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা নির্ধারিত হয়।
কিন্তু আপনি যদি প্রকৃত অর্থে সৌদি প্রবাসী হিসেবে একজন চিকিৎসক, কোন ইঞ্জিনিয়ার, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, কোন একজন ব্যাংকার, এবং বিনিয়োগকারী হয়ে থাকেন তাহলে প্রতি মাসে আপনি কয়েক লক্ষ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
শেষ কথা
আশা করতেছি ইতিমধ্যে এই পোস্ট থেকে আপনারা সৌদি আরবে কোন কাজের বেতন বেশি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। তারপর ছোট ছোট কাজের বেতনসহ অনেক বড় বড় কাজের বেতনের তালিকা উল্লেখ করা হয়েছে। সব সময় চেষ্টা করবেন ভালো কোন এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি আরবের ভালো একটি কোম্পানির ভিসা তৈরি করে নেওয়ার।